Logo

অর্থনীতি    >>   জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণে ভ্যাট অব্যাহতি

জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণে ভ্যাট অব্যাহতি

জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণে ভ্যাট অব্যাহতি

জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ ইয়ার্ডগুলিকে পরিবেশবান্ধব গ্রিন শিপ ইয়ার্ডে রূপান্তরিত করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শর্তসাপেক্ষে আমদানি পর্যায়ে আরোপিত সব ধরনের মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও আগাম কর (এটিভি) অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ২০২৫ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের সব জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ ইয়ার্ডকে গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে উন্নীত করতে চায়। এই সময়সীমার মধ্যে উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন না হলে পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য আর কোনো জাহাজ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে না।

সম্প্রতি এনবিআরের প্রথম সচিব (মূসক নীতি) মশিউর রহমানের স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে জানানো হয়, শিপ ব্রেকিং এবং রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে এই ভ্যাট অব্যাহতি প্রযোজ্য হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়,

১. আমদানিকৃত মূলধনী যন্ত্রপাতি শুধুমাত্র শিপ ব্রেকিং ও রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের উন্নয়নে ব্যবহার করতে হবে।

২. যন্ত্রপাতি ন্যূনতম পাঁচ বছরের আগে বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না।

৩. পাঁচ বছরের আগে বিক্রি বা হস্তান্তর করা হলে প্রদত্ত রেয়াতি সুবিধা বাতিল হবে এবং পূর্বে আরোপিত সব ধরনের ভ্যাট পুনরায় আদায়যোগ্য হবে।

আমদানিকৃত যন্ত্রপাতির যথাযথ ব্যবহারের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র শুল্কায়নের সময় দাখিল করতে হবে। এছাড়া, তিনশ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামা দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে যে যন্ত্রপাতি পাঁচ বছরের আগে বিক্রি বা হস্তান্তর করা হবে না।

রেয়াতি হারে আমদানিকৃত যন্ত্রপাতি ব্যবহারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট বিভাগীয় কর্মকর্তা ও রাজস্ব কর্মকর্তারা তদারকি করবেন।

এই সুবিধার মাধ্যমে দেশের জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পকে উন্নত করার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।